বিদ্যালয়ের শিশুদের আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান এবং শিশুরা আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলবে। প্রতিটি বিদ্যালয় সবুজায়ন লক্ষ্যে মাঠ আঙ্গিনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃক্ষের চারা রোপণ কার্যক্রম জোরদার করণ। প্রতিটি বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছতা রাখা।
সকল শিক্ষার্থীর ছবিসহ আইডিকার্ড ও ডাটাবেজ প্রণয়নসহ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঝরে পড়া ও স্কুল বর্হিভূত শিশুদের বিদ্যালয়ে আনয়ন এবং তাদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সকল শিশুর জন্য সমতাভিত্তিক ও মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ জমতিয়েন ঘোষণার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা শুধুমাত্র অর্জনই করেনি বরং অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে গেছে। গত শতাব্দীর শেষ দশকে কমবেশী প্রাথমিক শিক্ষার পরিমানগত দিকের অগ্রগতি হয়েছে। শেষ দশকের পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পরিমানগত এবং গুনগত উভয় দিকের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রবলভাবে জোর দেয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান অর্জনের দিকে।
বাংলাদেশ সরকার (এঙই) বিশ্ব শিক্ষা ফোরামে (ডাকার, এপ্রিল ২০০০) সবার জন্য শিক্ষার (ঊঋঅ) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২০১৫ সনের মধ্যে অর্জনের অঙ্গীকার করেছে। ডাকার ফ্রেমওয়ার্কে যে সকল লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তানিম্নরুপ:
ক. বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ এবং অনগ্রসর শিশুদের শৈশবের যত্ন ও শিক্ষার ব্যপক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ;
খ. ২০১৫ সনের মধ্যে সব শিশু বিশেষকরে মেয়ে শিশুদের গুরুত্ব দান, কঠিন পরিস্থিতিতে পতিত শিশু এবং জাতিগত সংখ্যালঘু শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ও মানসম্মত, অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের সুযোগ নিশ্চিত করা;
গ. সব অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের এবং বয়স্ক জনগনের শিখনের প্রয়োজনের নিরিখে যথাযথ শিক্ষা ও জীবনধর্মী দক্ষতা কর্মসূচির সমান সুযোগ নিশ্চিত করা;
ঘ. বয়স্ক জনগনের বিশেষকরে মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, এবং বয়স্ক জনগনের জন্য মৌলিক ও অব্যাহত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা;
ঙ. ২০০৫ সনের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, এবং ২০১৫ সনের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জন করা, মেয়েদের গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে মানসম্মত মৌলিক শিক্ষা অর্জন;
চ. মানসম্মত শিক্ষার সকল দিকের উন্নতি এবং উৎকর্ষ নিশ্চিত করা যাতে সবাই স্বীকৃত ও পরিমাপযোগ্য শিখনফল অর্জন করতে পারে বিশেষ করে সাক্ষরতা (লিটারেসী), গণনা (নিউমেরেসী) এবং জীবন দক্ষতা সংক্রান্ত;
এই সাপেক্ষে, ডাকার ফ্রেমওয়ার্ককের ভিত্তি ধরে, বাংলাদেশ ২০১৫ সনের মধ্যে অর্জিতব্য সবার জন্য শিক্ষার সুনির্ধিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সবার জন্য শিক্ষার খসড়া ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন (ঘচঅ) প্রনয়ণ করে। সবার জন্য শিক্ষার (২০০৩-২০১৫) এই ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনে সবগুলো লক্ষ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি ও শিক্ষাদান করা যায়।
প্রাথমিক শিক্ষার পরিমানগত এবং গুনগত মান উন্নয়নের সবগুলো চলমান প্রকল্প জুন, ২০০৪ সনে সম্পন্ন হয়। অত:পর ডাকার ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে এই দেশে দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (চঊউচ-ওও) হাতে নেয়া হয় এবং ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনের প্রস্তাব করা হয়। দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীর (২০০৩-২০০৮) প্রধান উদ্দেশ্য নিম্নরূপ:
দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য:
ক. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনের সুযোগ, অংশগ্রহন এবং সমাপণী বৃদ্ধি যা সরকারের পলিসি এবং সবার জন্য শিক্ষা ও অন্যান্য অঙ্গিকারের সংগে সপৃক্ত
খ. শিক্ষার্থীদের শিখনের অগ্রগতি এবং আউটকামস্রে পারফরমেন্স (অর্থাৎ)
দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্দেশ্যাবলী:
ক. সকল শিশুর জন্য মান সম্মত শিক্ষা প্রবর্তন। যদিও বর্তমানে সরাসরি বেশী নজর দেয়া হচ্ছে সরকারি ও বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তবে তা সকল বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর উপরই প্রভাব ফেলবে।
খ. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী বয়সী সব শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।
গ. আগাম শিক্ষা সংস্কারের প্রচারণা বিশেষভাবে: সংঙ্গা নির্ধারণ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা সংক্রান্ত পরিষেবার নূন্যতম মান বাস্তবায়ন, যা পরিষেবা প্রদানের সুযোগ ও মান সম্পর্কে আলোকপাত করবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অন্যান্য যাদের প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে তাঁদের জন্য যথোপযোক্ত ক্যারিয়ার পথ ও উপযুক্ত পদবী নির্ধারণ।
প্রতিষ্টানের দক্ষতা বা ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা এবং পদ্ধতিগতভাবে পরিবর্তন আনয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির অধীন উন্নত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং পরিবীক্ষণ অব্যাহত রাখার জন্য পলিসির সাথে সাদৃশ্য ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করা।
বর্তমান যুগে একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য থাকে জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা পূরণের উপযোগী শিক্ষা প্রদান। বাংলাদেশ ২০২০-২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্য স্থির করেছে মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া সেটি অর্জন সম্ভব নয়। বিশ্ব ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি নীতি পর্যালোচনাপত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাজির করেছে। এতে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তির ৯৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিকের চেয়ে কম; দুই-তৃতীয়াংশের প্রাথমিকের চেয়ে কম। প্রাথমিক পাশ শ্রমশক্তির মাত্র এক-তৃতীয়াংশের গণনা ও সাক্ষরতায় প্রত্যাশিত জ্ঞান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মনে রাখা জরুরি যে, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে উপযোগভিত্তিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে জোরালো সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান শিক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শিশু সার্বিক কল্যাণ বলতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গনির্বিশেষে সকলের জন্য সমতাভিত্তিক অধিকার ও কল্যাণের ধারণাটি আত্মস্থ করতে সক্ষম হয়। এটি দেশের জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও তাগিদ।
প্রত্যাশিত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান অন্তরায়গুলোর মধ্যে রয়েছে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান শিক্ষার অভাব, একই স্তরের শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে অসমতা, বিভিন্ন ধারার শিক্ষার মধ্যে ব্যাপক ফারাক, দুর্বল শিখন মূল্যায়ন ও শিক্ষকের উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা, শিক্ষক প্রণোদনার অভাব, সরকারি তহবিল ব্যবহারের তদারকিতে দুর্বলতা, প্রাথমিকে ঝরে পড়ার উচ্চহার, অতিদরিদ্র বা দুর্গম এলাকার শিশুদের ভর্তি না-হওয়া, প্রাথমিক-পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থী হ্রাস, নগরাঞ্চলে দরিদ্র জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানসম্মত দক্ষতা প্রশিক্ষণমূলক শিক্ষার অভাব প্রধান।
তাছাড়া বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদনে প্রয়োজন পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ, ইউনেস্কো নীতিমালা অনুযায়ী যা জিডিপির অন্ততপক্ষে ছয় শতাংশ ও মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু জিডিপির অনুপাত ও মোট বাজেটের অংশ– উভয় অর্থেই শিক্ষার বরাদ্দে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। শিক্ষায় জিডিপির ১.৯ শতাংশ বরাদ্দ নিয়ে বিশ্ব উন্নয়ন সূচকের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৬১টি দেশের মধ্যে ১৫৫তম। ২০০০ সালে শিক্ষায় বরাদ্দ দুই শতাংশে উন্নীত করার পর থেকে এ যাবত এ খাতের বাজেট আর বাড়েনি।
৩. পাঠবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও উৎকর্ষ সাধনে কয়েকটি সুপারিশ:
এখানে উল্লিখিত সুপারিশগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য শেখার জন্য সার্বিক দিক থেকে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। এসব সুপারিশের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য উদ্ভাবনি পদক্ষেপ, কর্মকাণ্ডের মান নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে, নতুবা প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে না।
সহায়ক শিক্ষক নিয়োগ:
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ২০১৮ সালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৩০ অর্জনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সে লক্ষ্য থেকে আমরা খুব বেশি হয়তো পিছিয়ে নেই। কেননা বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে সরকারি প্রাথমিকে এই অনুপাত ছিল ১:৩৯, বেসরকারি প্রাথমিকে ১:২৫, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১:৩৫ ও বেসরকারি মাধ্যমিকে ১:৪২।
তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে আমাদের গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় আর্থসামাজিক অবস্থা বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন এবং আদর্শ অনুপাতে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও বাড়তি সহায়তা প্রয়োজন কিনা তা ভেবে দেখা জরুরি। ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমল তো বটেই, এমনকি দুই-আড়াই দশক আগের তুলনায় এ বৈচিত্র্য এখন অনেক বেশি।
বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশের অভিভাবকদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। আরেকটি অংশের বাবা-মায়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেছেন। বাকি একটি অংশ আসছে এমন পরিবার থেকে যাদের বাবা-মা প্রাথমিক-পরবর্তী শিক্ষায় শিক্ষিত। বিভিন্ন আর্থসামাজিক পরিস্থিতি থেকে আসা ছাত্রছাত্রী যাতে শ্রেণিকক্ষে একটি সমধারার পরিবেশে জ্ঞানার্জন করতে পারে তা শিক্ষককে নিশ্চিত করতে হয়। শিক্ষক যাতে সেই ভূমিকা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারেন সেজন্য তাঁর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি যে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন তা সহায়ক শিক্ষকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।
সহায়ক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ইতোমধ্যে কোনো কোনো শিক্ষক নিজ উদ্যোগে প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন। সরকার এসব উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে একটি আদর্শ মডেল তৈরি ও প্রয়োগ করতে পারে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ:
মানসম্মত শিক্ষাদানে শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সরকারের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষক প্রশিক্ষণে ভূমিকা পালন করছে সত্য, তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উদ্ভাবন চলছে তা চাক্ষুষ করার সুযোগ আমাদের শিক্ষকদের কতটুকু? আমাদের দেশে চিকিৎসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, গবেষণা ইত্যাদি পেশায় জড়িতদের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকদের জন্য তা তৈরি হয়েছে কি?
আবার পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টি অঙ্গাঙ্গী জড়িত যার সুযোগ শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত সীমিত। এর ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এ পেশায় আসতে আগ্রহ বোধ করছেন না।
কাজের স্বীকৃতি যে কোনো পেশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ব্যক্তির পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তা অনুপ্রেরণা জোগায়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বছরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতির বিদ্যমান সরকারি ব্যবস্থাটিকে এজন্য আরও উদ্ভাবনমূলক ও প্রসারিত করা প্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস